পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলি কি? পেয়ারার গুনাগুন

আজ আমরা জানবো পেয়ারার গুন কি? অর্থাৎ পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা গুলি কি কি আর এর অপকারিতা গুলিই বা কি।

পেয়ারাকে একটি প্রাচীন উপকারী প্রকৃতির এক বিশেষ ফল বললেও কিছু যে ভুল বলা হবে না তা আমরা সবাই জানি।

পেয়ারা আমাদের সবারই খবুই পছন্দের একটি ফল। এটি ভারত, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আমেরিকার সহ অনেকে দেশেই বেশ জনপ্রিয়।

আমরা ছোট বেলা থেকেই মা, বাবা, দাদু ও ঠাকুমাদের কাছে শুনে এসেছি পেয়ারার অনেক গুনাগুন আছে আর বই এর মধ্যেও তা পড়েছি।

আর বাঙালির ঘরে বিকালে যে পেয়ারা প্রায়ই পাওয়া যায় তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আর যাদের নিজেস্ব গাছ আছে সেই ক্ষেত্রে তো কিছু বলারই নেই।

তো আজকে এই পোস্টে আমরা আরো একবার ভালো ভাবে জানবো যে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলি কি?

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও গুনাগুন
পেয়ারার গুনাগুন বা উপকারিতা

চলুন সবার প্রথমে জেনেনি গুয়াবা বা পেয়ারার গুণগত মান গুলি কি আর এটি খেলে কি কি সাস্থকারীতা পাওয়া যায়।

পেয়ারার উপকারিতা গুলি হল :

  1. পেয়ারা ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা কমায়। এটি বেশিরভাগ অধঃস্থল ক্যান্সারে ব্যবহৃত সুষম চিকিৎসার জন্য একটি আদর্শ খাবার।
  2. আপনার শরীরের রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে
  3. গুয়াবা বা পেয়ারা দাঁতের জন্য খুবই ভাল। এটি দাঁত এবং মাংসপেশিদের শক্ত সবল করে ও রাখে আর মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করে। তবে মুখের দুর্গন্ধের জন্য পেয়ারা পাতা বেশি কার্যকরী।
  4. আপনি কি জানেন পেয়ার একটি শক্তিশালী প্রতিরোধক ফল। এটি ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, বৃদ্ধির বিপরীত রোগ হিসাবে ও অন্যান্য রোগের প্রতিরোধে কাজ করে।
  5. মহিলাদের গর্ভবস্থায় পেয়ারা খুবই উপকারী বাচ্চার জন্য। এর মধ্যে থাকা ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন B9 শিশুর বিকাশে সাহায্য করে।
  6. নিয়মিত পেয়ারা খেলে আমাদের দৃষ্টি শক্তি আরো ভালো ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  7. এটি মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে একটি মানসিক স্থিতির প্রতিবেদক হিসাবেও কাজ করে যা আপনাকে বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর স্থিতিতে সাহায্য করে।
  8. পেয়ারার মধ্যে ভরপুর পরিমান ফাইবার থাকার কারণে তা আপনার পেট সংক্রান্ত সমস্যার জন্য খুবই উপকারী।
  9. এছাড়াও পেয়ারা খাওয়ার ফলে রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ ও হৃদয় সুস্থ থাকে।
  10. এই পেয়ারা শরীরের ভিটামিন C, E এবং জিঙ্ক ও আয়রন এর ঘাটতিতে সাহায্য করে।
  11. প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা হল এর মধ্যে বিশাল পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় আপনার শরীরের হাড় এবং দাঁতের জন্য উপকারী।
  12. এমনকি পেয়ারা আমাদের ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এর মধ্যে আপেল, লেবু ও আঙ্গুর এর থেকে সুগার এর পরিমান অনেক কম থাকে।

পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা

সাধারনত পেয়ারা খাওয়ার সেরকম বিশেষ কোনো অপকারিতা নেই। এটি আমাদের স্বাস্থকর ও পুষ্টিকারী উপাদান গুলিই প্রদান করে।

তবে স্বাভাবিক ভাবেই আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমান পেয়ারা খেয়ে ফেলেন সেই ক্ষেত্রে আপনার পেটের সমস্যা হতে পারে।

যেহেতু এর মধ্যে ভালো পরিমান ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান গুলি আছে তাই যেকোনো জিনিস এর মতোই অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

১. পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম

পেয়ারা খাওয়ার আগে অবশ্যই তা ভালো করে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নেবেন। এবং পেয়ারার ওপরের ও নিচের অংশ কেটে ফেলে দেবেন।
এছাড়াও পেয়ারা কেটে খাবেন ফলে যদি ফেতরে পোকা থাকে তা জানতে পারবেন।

২. নিয়মিত বা প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা

নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার একটি সুবিধা হল আপনার দাঁত এবং মাড়ি শক্ত সবল থাকে। আর পেয়ারার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি আপনার ত্বক ও চোখকে ভালো রাখবে এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে ও এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট স্ট্রেস লেভেল কমাতে সাহায্য করে।

3. পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময়

পেয়ারা খোয়ার ভালো সময় হলো সকালে ও দুপুরে খাবার কিছু ঘন্টা পরে বা বিকালে। খালি পেতে পেয়ারা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৪. গর্ভাবস্থায় পেয়ারার উপকারিতা না লাভ

পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমানে ফলিক এসিড ও ভিটামিন বি-৯ থাকায় তা বাচ্চার মস্তিস্ক এবং স্নায়ুতন্ত গঠনে বিশেষসাহায্য করে।

৫. পেয়ারা পাতার উপকারিতা বা গুন্

পেয়ারা পাতার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। যেরকম এর ভিটামিন সি এবং এনটিঅক্সিডেন্ট শরীরের বিভিন্ন অংশের সুস্থতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পেয়ারা পাতার ব্যবহার করে পেটর সমস্যা সাধারণতঃ যেমন কলিক, পেট ফুলে যাওয়া, বমি ইত্যাদি রোগে সহায়তা করে।
এছাড়াও পেয়ারা পাতা নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরলের স্তরকমায়, হৃদয়ের সমস্যার ঝুঁকিকমায়, ডায়াবেটিস রোগের প্রতিরোধ করে এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক পাওয়ার জন্য বেশ উপকারী।

৬. পেয়ারার বিজ্ঞানসম্মত নাম?

পেয়ারার বিজ্ঞানসম্মত নাম Psidium guajava।.