৭টি ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার PC ইউসারদের জন্য

আপনার স্মার্ট ফোনে বা DSLR এ তোলা ভিডিও হোক বা অন্য কোনো ফিল্ম মেকিং ক্যামেরা দ্বারা তোলা কোনো ভিডিও।

আপনি যদি আপনার ভিডিওটিকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী রূপ দিতে চান তাহলে আপনাকে একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের সাহায্যে আপনি আপনার ভিডিওর প্রয়োজনীয় ফুটেজ বা ক্লিপস টি রেখে যেরকম বাকি ফুটেজগুলি সরিয়ে দিতে পারবেন।

সেরকম বিভিন্ন 2D ও 3D এফেক্ট, ফিল্টার, ট্রানসেশন, কালার গ্রেডিং, সাউন্ড ডিজাইনিং এবং আর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারবেন একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে।

অর্থাৎ, আপনার রেকর্ড করা ভিডিওটি সে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে শেয়ার করার জন্য, শর্ট ফিল্ম বানানোর জন্য, ইউটিউবে আপলোড করার জন্য বা বিসনেসের জন্য যেই উদ্যেশেই ব্যবহার করতে চান না কেন তা আপনার প্রযোজন অনুযায়ী রূপ দিতে আপনাকে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের সাহায্য নিতে হবেই।

ইন্টারনেটে এরকম বিভিন্ন জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার আছে যার মাধ্যমে আপনি সাধারণ থেকে অ্যাডভান্স লেভেলের এডিটিং করতে পারবেন।

তবে বেশিরভাগ সেই ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলি ব্যবহার করতে আপনাকে সবার প্রথমে তা কিনতে হবে নতুবা আপনি তা ব্যবহার করতে পারবেননা।

আবার এরকম অনেক সফটওয়্যার আছে যা আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।

এখানে ফ্রি বলতে আমি ট্রায়েল ভার্সনের কথা অবশ্যই বলছি না।

আমি সম্পূর্ণ ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের কথা বলছি যা আপনি ফ্রিতে ডাউনলোড করার পাশপাশি সেই সফটওয়্যার দিয়ে সাধারণ থেকে অ্যাডভান্স লেভেলের এডিটিং করতে পারবেন কোনো ওয়াটারমার্ক ছাড়াই।

তো আজকে আমরা জানবো এরকম সেরা ৭টি ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার PC ইউসারদের জন্য

৭টি সেরা ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

নিচে আমরা যেই ৭টি ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার নিয়ে জানবো তা সম্পূর্ণ ফ্রি। আমি এখানে কোনো ট্রায়েল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার তুলে ধরছিনা।

আপনি নিচের আলোচিত ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলির সাহায্যে সাধারণ এডিটিং থেকে অ্যাডভান্স লেভেলের এডিটিং করতে পারবেন।

যেরকম ইউটিউব, গেমিং, বিসনেস এবং শর্ট ফিল্ম বা ফিল্ম মেকিং ইত্যাদি প্রজেক্টের জন্য নিচের ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলি ব্যবহার করতে পারবেন।

তো চলুন এবার দেখা যাক ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলি:

১. OpenShot

ওপেন শট ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
(Image Credit- openshot.org)

আমাদের প্রথম ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটির হল ওপেনশট। ওপেনশট হলো ফ্রি এবং ওপেন সোর্স ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।

ওপেনশট হল একটি ফ্রি সাধারণ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যা বিভিন্ন প্লাটফর্ম যেরকম Windows, MacOS এবং Linux এইসব প্লাটফর্ম গুলিতে ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনি এখানে বেসিক লেভেলের এডিটিং থেকে সাধারণ অ্যাডভান্স লেভেলের এডিটিং করতে পারবেন।

ওপেনশটের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি হলো:

  • বিভিন্ন প্লাটফর্মে সাপোর্টেড।
  • কি-ফ্রেম অ্যানিমেশন।
  • আনলিমিটেড ট্রেক ও লেয়ার।
  • সাধারণ সমস্ত ক্লিপ রিসাইজ, স্কেলিং, ট্রিমিং, স্নেপিং, রোটেশন এবং কাটিং।
  • ভিডিও ট্রানসেশন, রিয়েল টাইম প্রিভিউ এর সাথে।
  • টাইটেল টেম্পলেটস, টাইটেল ক্রিয়েশন এবং সাব-টাইটেল।
  • 3D অ্যানিমেশন টাইটেল।
  • সহজ ও অ্যাডভান্স টাইমলাইন, এডিটিং এর জন্য।
  • টাইম ম্যাপিং (স্পিড স্লো ও ফাস্ট )
  • সাউন্ড মিক্সিং এবং এডিটিং।
  • বিভিন্ন ভিডিও এফেক্ট যেরকম গ্রীন ও ব্লু স্ক্রিন ইত্যাদি।

২. Shotcut

shotcut ফ্রি ভিডিও এডিটর
(Image Credit- shotcut.org)

ওপেনশটের মতো শটকাটও সম্পূর্ণ একটি ফ্রি এবং ওপেন সোর্স ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।

কিন্তু শটকাটের ইন্টারফেস এবং লেআউট অনেক অ্যাডভান্স ও স্টাইলিস। আপনি এখানে HD কোয়ালিটিতে নিজের ভিডিও এডিট ও এক্সপোর্ট করতে পারবেন।

শটকাটের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি হল:

  • বিভিন্ন প্লাটফর্ম সাপোর্টেড।
  • বিভিন্ন ফাইল ফরমেট সাপোর্টেড।
  • HD এবং 4K Resolution এক্সপোর্ট।
  • নেটওয়ার্ক স্ট্রিম প্লেব্যাক।
  • অ্যাডভান্স অডিও মিক্সিং এবং এডিটিং।
  • অডিও ও ভিডিও স্পিড এফেক্ট।
  • বিভিন্ন ভিডিও ট্রানসেশন।
  • সহজ টাইমলাইন ট্রিমিং, ক্লিপ কপি,কাট এবং পেস্ট।
  • মাল্টিপেল ট্রেক এবং আনলিমিটেড আনডু ও রিডু।
  • কি-ফ্রেম সাপোর্টেড।
  • ডিসপ্লে মনিটারিং
  • বিভিন্ন হার্ডওয়্যার সাপোর্ট।

৩. Lightworks

lightworks ফ্রি ভিডিও এডিটর
(Image Credit- Twitter.com)

লাইটওয়ার্কস হলো ফ্রি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। এটি ওপেন সোর্স ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার না অর্থাৎ এর দুটি ভার্সন আছে একটি ফ্রি এবং একটি পেইড।

আমি এখানে ফ্রি ভার্শনটি নিয়ে কথা বলছি এবং ফ্রি বলতে লাইটওয়ার্কসের সম্পূর্ণ ফ্রি এডিশনটি তুলে ধরছি।

লাইটওয়ার্কস বিভিন্ন জনপ্রিয় হলিউড মুভি এডিট করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এবং হচ্ছে।

অর্থাৎ আপনি সাধারণ এডিটিং থেকে শুরু করে প্রফেশনাল এডিটিং যেরকম মুভি বা শর্ট ফিল্ম এডিট করতে এই এডিটিং সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারবেন।

লাইটওয়ার্কসের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি হলো:

  • সমস্ত অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্টেড।
  • বিভিন্ন ফাইল ফরমেট সাপোর্টেড।
  • ক্লিপ রিসাইজ, স্কেলিং, ট্রিমিং, স্নেপিং, রোটেশন এবং কাটিং।
  • ডেডিকেটেড H.264 MPEG-4/AVC
  • সিম্পল এবং স্টাইলিস ইন্টারফেস।
  • রেডি টু ইউস অডিও ভিডিও FX
  • HD কোয়ালিটি এক্সপোর্ট।
  • কালার গ্রেডিং।
  • কি-ফ্রেম।
  • Boris ভিডিও এবং টেক্সট VFX সাপোর্টেড।
  • গ্রাফিক্স হার্ডওয়্যার সাপোর্ট।

৪. VSDC

vsdc ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
(Image Credit- videosoftdev.com)

VSDC হল মাল্টি উসিং ফ্রি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। এটি একটি নোন-লাইনার ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যার অর্থ মুভি এডিটিং পসিবিলিটি এই সফটওয়্যার থেকে পাবেন।

এই ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি এডভান্স এডিটিং করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ডাউনলোড ও ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনি যদি এর আরো কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করতে চান তাহলে তার জন্য আপনাকে কিছু ফিচারস টাকা দিয়ে কিনতে হবে।

কিন্তু ফ্রি ভার্সনেই আপনি যথেষ্ট ফিচারস ব্যবহার করতে পারবেন এবং তা সম্পূর্ণরূপে ফ্রি।

VSDC ভিডিও এডিটরের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি হল:

  • অ্যাডভান্স টাইমলাইন এবং ট্রিমিং, ক্লিপ রিসাইজ, স্কেলিং, স্নেপিং, রোটেশন এবং কাটিং।
  • HD Resolution এক্সপোর্ট।
  • গ্রীন স্ক্রিন এফেক্ট বা ক্রোমা কি।
  • মাস্কিং।
  • মোশান ট্র্যাকিং।
  • ভিডিও স্টেবিলাইজেসানা টুল।
  • ইন-বিল্ড স্ক্রিন ক্যাপচারিং।
  • কালার গ্রেডিং।
  • ভিজ্যুয়াল এবং অডিও ইফেক্ট।
  • বিভিন্ন ট্রানসেশন এবং ভিডিও এফেক্ট।

৫. VideoPad

videopad video editor free
(Image Credit- www.nchsoftware.com)

ওপরের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলির মতো ভিডিও প্যাডও একটি ফ্রি প্রফেশনাল মুভি মেকিং এবং ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।

ভিডিও প্যাড একটি সিম্পল, স্ট্যাবল এবং হালকা ভিডিও এডিটিং সফ্টওয়ার যার ফাইল সাইজও অনেক কম অর্থাৎ আপনার কম্পিউটারের ওপর বেশি চাপ পড়বেনা এবং দ্রুত চলবে।

ভিডিও প্যাডের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি হল:

  • হালকা এবং দ্রুত।
  • ব্যাবহারে সহজ।
  • অ্যাডভান্স ক্লিপ রিসাইজ, স্কেলিং, ট্রিমিং, স্নেপিং, রোটেশন এবং কাটিং।
  • HD Resolution সাপোর্ট এবং এক্সপোর্ট।
  • 3D ভিডিও এডিটিং।
  • স্পিড অ্যাডজাস্টমেন্ট।
  • ভিডিও স্টেবিলাইজ্যাসন।
  • কালার গ্রেডিং।
  • ৫০টির বেশি ট্রানসেশন এবং ভিডিও এফেক্ট।
  • এবং বিভিন্ন ফাইল ফরমেট সাপোর্টেড।

৬. DaVinci Resolve 16

(Image Credit- www.blackmagicdesign.com)

এটি হল সম্পূর্ণ ফ্রি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। এর দুটি ভার্সন আছে একটি DaVinci Resolve 16 যেটি ফ্রি এবং DaVinci Resolve 16 Studio যেটি পেইড ভার্সন।

যেহেতু এটি সম্পূর্ণ একটি প্রফেশনাল ভিডিও এবং মুভি মেকিং সফটওয়্যার তাই আপনার ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে অল্প অভিজ্ঞতার দরকার পড়বে।

যারা নতুন ভিডিও এডিটিং শিখছে তাদের জন্য একটু অসবিধা হবে কিন্তু আপনি YouTube টিউটোরিয়াল দেখে কিছু দিনের মধ্যে এই সফটওয়্যারে বেসিক এডিটিং শিখতে পারবেন।

DaVinci Resolve 16 এর বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি হল:

  • প্রফেশনাল এডিটিং টুল।
  • অ্যাডভান্স কালার গ্রেডিং এবং কারেক্শন টুল।
  • High-performance playback engine.
  • 3D টুল।
  • অ্যাডভান্স ডুয়াল টাইমলাইন।
  • অ্যাডভান্স ট্রানসেশন এবং এফেক্ট।
  • HD কোয়ালিটির সাথে দ্রুত এক্সপোর্ট সাপোর্ট।
  • 3D ভিডিও এডিটিং।
  • স্পিড অ্যাডজাস্টমেন্ট।
  • ভিডিও স্টেবিলাইজ্যাসন।
  • কি-ফ্রেম এবং মোশান ট্র্যাকিং।

৭. HitFilm Express

hitfilm express free video editor
(Image Credit- fxhome.com)

আরেকটি প্রফেশনাল ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হলো HitFilm Express।

HitFilm Express হল ফ্রি প্রফেশনাল ভিডিও এবং মুভি মেকিং সফটওয়্যার। আপনি যদি ইউটিউব ভিডিও বা গেমিং ও শর্ট ফিল্ম এডিট করতে চান তাহলে HitFilm Express আপনার জন্য আদর্শ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।

আপনি এখানে একটি ফ্রি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারে যেসব ফিচারস বা বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার সেই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলি পাবেন।

যেহেতু HitFilm Express একটি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার তাই যারা নতুন ভিডিও এডিট করছেন বা এডিটিং নিয়ে বিশেষ অভিজ্ঞতা নেই তাদের জন্য অনেক জটিল হবে।

কিন্তু আপনি যদি আপনার ভিডিওকে প্রফেশনাল লুক দিতে চান তাহলে অবশ্যই HitFilm Express ব্যবহার করতে পারেন।

YouTube টিউটোরিয়ালের সাহায্যে আপনি HitFilm Express শিখতে পারেন।

HitFilm Express এর বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি হল:

  • অ্যাডভান্স টাইমলাইম।
  • প্রফেশনাল এডিটিং টুল।
  • বিভিন্ন ফাইল ফরমেট সাপোর্ট।
  • আনলিমিটেড ট্রেক।
  • 3D ক্যামেরা প্রজেকশন।
  • 3D এডিটিং টুল।
  • অ্যাডভান্স কালার কারেকশন এবং কালার গ্রেডি টুল।
  • ক্রোমা কি বা গ্রিন স্ক্রিন এফেক্ট।
  • কি-ফ্রেম, মাস্কিং এবং ট্র্যাকিং।
  • 3D মডেল ইম্পোর্ট।
  • স্পেশাল এফেক্ট।
  • বিভিন্ন প্রিসেট, ট্রানসেশন এবং LUTs।
  • এবং আরো অনেক ফিচারস।

ওপরের আলোচিত ৭টি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।

এবং প্রতিটি সফ্টওয়ারি HD ভিডিও সাপোর্ট করে এবং আপনি আপনার ভিডিও প্রজেক্টটিকে HD রিসোলিউশনে এক্সপোর্ট বা সেভও করতে পারবেন।

আপনার যদি ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে বিশেষ অভিজ্ঞতা না থাকে এবং এডিটিংয়ে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি VideoPad, Lightworks, OpenShot এবং Shotcut এর মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন।

আর যদি আপনি ভিডিও এডিটিং অনেক আগে থেকে করছেন অর্থাৎ এডিটিং সম্পর্কে কিছু এক্সপিরিয়েন্স থাকে তাহলে অবশ্যই VSDC, DaVinci Resolve এবং HitFilm এর মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করুন।

আমাদের শেষ কথা :

আশা করছি এখান থেকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পছন্দের ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি আপনি বেছে নিতে পারবেন।

পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করে জানান আপনার পছন্দের ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার কোনটি।