৮টি উপায়ে টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করুন

অনলাইন ইনকাম এখন একটি খুবই জনপ্রিয় বিষয় এবং বিভিন্ন মানুষ আজ চাইছে বাড়িতে বসে অনলাইন আয় করার জন্য।

আর তার জন্যই তারা বেছে নিচ্ছে, বিভিন্ন মাধ্যমকে যেরকম, কোনো ইনকাম অ্যাপ, ওয়েবসাইট, আবার কেউ কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম বা মেসেজিং অ্যাপ।

এছাড়াও এরকম আরো বিভিন্ন মাধ্যম ও উপায় আছে যেখান থেকে সবাই আয় করছে এবং অনেকে সেই মাধ্যম বেছে নিচ্ছে।

আজকের দিনে এরকমই একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হল টেলিগ্রাম, যেটি একটি ক্রসপ্লাটফর্ম মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক মেসেন্জারের মতোই।

আর এই টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম (make money from telegram) করার জন্যেও বিভিন্ন উপায় বা কৌশল ইন্টারনেটে উপলব্ধ আছে।

আর আজকের আর্টিকেলে আমরা এই বিষয়েই জানবো যে টেলিগ্রাম কি এবং কিভাবে ও কি কি উপায়ে Telegram থেকে আয় করা যায়।

টেলিগ্রাম অ্যাপ (Telegram app) কি?

যেরকম আগেই বললাম যে টেলেগ্রাম বা Telegram হল একটি ক্রস-প্লাটফর্ম ও ক্লাউড বেসড ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং, ভিডিও কলিং ও VoIP সার্ভিস বা অ্যাপ।

যদি আরো সহজ ভাবে বলি বা বোঝাই তাহলে টেলিগ্রাম হল হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক মেসেন্জারের মতোই একটি ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ।

যেখানে ইন্টারনেটের সাহায্যে মেসেজ, ভিডিও কল ও ভয়েস কল করা যায়, ঠিক যেরকম আমরা WhasApp বা Messenger-এ করে থাকি।

টেলিগ্রাম আইওএস অর্থাৎ আইফোন, এন্ড্রোইড, উইন্ডোস কম্পিউটার এবং ম্যাক কম্পিউটের জন্য উপললব্ধ আছে।

টেলিগ্রাম থেকে আয় করার জন্য কি করতে হবে?

Telegram থেকে আয় করার জন্য আপনার সবার প্রথমে এখানে একটি চ্যানেল অথবা একটি টেলিগ্রাম গ্রুপ তৈরি করতে হবে।

সাধারণত এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে এই টেলিগ্রাম চ্যানেল বা টেলিগ্রাম গ্রুপ কি এবং কিভাবে বানাতে হয়।

প্রথমেই আপনাদের বলে রাখি যে এই telegram চ্যানেল ও গ্রুপ প্রায় একই জিনিস, সেরকম কোনো পার্থক্য নেই তবে এদের উদ্দেশ্য একটু আলাদা।

What is Telegram Channel

টেলিগ্রাম চ্যানেল হল টেলিগ্রামেরই একটি টুল বা ফিচারস যার মাধ্যমে আপনি একটি গ্রুপ তৈরি ও সেখানে বিভিন্ন কনটেন্ট সম্প্রচার করতে পারেন।

এবং ইচ্ছুক মেম্বার্সরা সেই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে সেই চ্যানেলের অংশীদার হতে পারে তাকেই টেলিগ্রাম চ্যানেল বোঝায়।

এর কনসেপ্ট বা ধারণাটি ঠিক হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক গ্রপের মতোই যেখানে আপনি ফটো, ভিডিও, টেক্সট ও অন্যান্য ফাইল প্রেরণ করতে পারেন।

তবে এখানে যে অ্যাডমিন অর্থাৎ চ্যানেলের নির্মাতা শুধুমাত্র সেই এখানে কনটেন্ট পাবলিশ ও তা মোডিফাই বা পরিবর্তন করতে পারবেন।

চ্যানেলের মেম্বার্স বা সাবক্রাইবাররা শুধু সেখানে পাবলিশ করা কনটেন্ট দেখতে, ডাউনলোড করতে ও ক্লিক করতে পারে।

What is Telegram Group

অন্যদিকে টেলিগ্রাম গ্রুপ হল বাকি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ বা মেসেজিং অ্যাপের যেরকম গ্রুপ হয়ে থাকে তার মতোই এক।

যেখানে গ্রুপের সমস্ত মেম্বার্সরাই একে অপরকে মেসেজ বা কনটেন্ট পাঠাতে পারে।

এখন আপনি বুছতেই পেরেছেন যে টেলিগ্রাম চ্যানেল ও গ্রুপ কি আর এদের কাজ কি। অর্থাৎ, কনটেন্ট পাবলিশ এর জন্য চ্যানেল এবং চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারদের সাথে এনগেজ থাকার জন্য গ্রুপ শ্রেয়।

আর তাই আমরা এখানে টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে ইনকাম বা আয় কি কি উপায়ে করা যায় তা বিস্তারিত আলোচনা করবো।

তবে তার আগে চলুন এবার আমরা জেনেনি যে চ্যানেল তৈরি করার সঠিক পক্রিয়া কি বা কিভাবে তা করতে হয়।

টেলিগ্রাম চ্যানেল কিভাবে তৈরি করবেন

  • ডাউনলোড ও একাউন্ট তৈরি

প্রথমত আপনার যদি টেলিগ্রাম না থাকে তাহলে আপনি যেই ডিভাইসে ব্যবহার করতে চান সেখানে তা ডাউনলোড ও ইনস্টল করে নিন।

এন্ড্রোইড ও আইফোনে ব্যবহারকারীরা প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোরে এবং উইন্ডোস ও ম্যাক ডিভাইসের জন্য গুগলে গিয়ে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন।

আপনার ডিভাইসে ইনস্টল হয়ে যাওয়ার পর তা ওপেন করে আপনার ফোন নম্বর ও নিজের নাম দিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিন।

  • Telegram চ্যানেল তৈরি

আপনার ডিভাইসে টেলিগ্রাম ইনস্টল ও একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে অ্যাপটি ওপেন করুন এবং বাম দিকে ওপরে ৩টি লাইনে ক্লিক করুন।

তারপর সেখানে “New Channel” বলে একটি অপশন পাবেন যেখানে ক্লিক করে আপনি নতুন চ্যানেল তৈরী করতে পারবেন।

তবে তার আগে অবশ্যই অনুরোধ করবো যে নিচের বিষয়গুলিও অবশ্যই দেখে নেওয়ার জন্য।

  • চ্যানেল niche বা বিষয় ঠিক করুন

টেলিগ্রাম খুবই জনপ্রিয় একটি অ্যাপ এবং এখানে হাজার হাজার চ্যানেল আগে থেকেই আছে তাই অবশ্যই একটি ইউনিক চ্যনেল টপিক ঠিক করুন।

  • চ্যানেল নাম ও ডেসক্রিপশনে কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন

আপনি যে niche বা টপিকের ওপর চ্যানেল তৈরি করছেন সেই সম্পর্কিত কীওয়ার্ড অবশ্যই আপনার চ্যানেল নামে ও ডেসক্রিপশনে ব্যবহার করুন।

ফলে টেলিগ্রাম সার্চ থেকে কেউ যদি আপনার চ্যানেলের টপিক সংক্রান্ত বিষয় লিখে সার্চ করে তাতে আপনার চ্যানেলটি সহজে খুঁজে পাওয়া যায়।

অবশ্যই পড়ুন: কীওয়ার্ড রিসার্চ কি? কীওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়?

  • চ্যানেল লোগো

অবশ্যই নিজের চ্যানেলের একটি লোগো দিন এবং চেষ্টা করুন যাতে লোগোটি খুব সিম্পল হয় এবং সহজেই বোঝা যায়।

  • ইউনিক এবং রেগুলার কনটেন্ট পোস্ট

আপনার চ্যানেলে সর্বদা ইউনিক কনটেন্ট পোস্ট করার চেষ্টা করবেন অন্য কোনো চ্যানেল থেকে কপি পেস্ট করে করতে যাবেন না।

এতে কোনো কপিরাইট সমস্যা হবে না তবে কমন বা সাধারণ কনটেন্ট পোস্ট করলে তা আপনার চ্যানেলের মেম্বার্সরা অবশ্যই পছন্দ করবে না।

তার সাথে চেষ্টা করবেন যে কনটেন্ট পোস্ট করার মধ্যে একটি সঠিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার।

  • খুব বেশি কনটেন্ট পোস্ট করবেন না

অবশ্যই কনটেন্ট পোস্ট করার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা উচিত তবে এর মানে এই না যে দিনে ২০-৫০ টা কনটেন্ট পোস্ট করবেন।

তা একদমই করবেন না কারণ আপনি যতবার কনটেন্ট পোস্ট করবেন ততবারি মেম্বার্স বা সাবস্ক্রাইবারদের কাছে নোটিফিকেশন যাবে।

ফলে আপনি যদি বারবার বা খুব বেশি পোস্ট করেন তাতে তারা বিরক্ত হয়ে আপনার চ্যানেল মিউট অথবা ছেড়ে চলে যেতে পারে।

  • চ্যানেল টপিক

সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কখনোই আপনার চ্যানেল কনসেপ্ট বা টপিক পরিবর্তন করবেন না।

কারণ যারা চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার তারা আপনার আগের চ্যানেল কনসেপ্ট পছন্দ করে বলেই আপনার চ্যানেলে আছে।

আর আপনি যদি তা হটাৎ করে পরিবর্তন করে দেন তাহলে আপনি অনেক সাবস্ক্রাইবার হারিয়ে ফেলতে পারেন।

কিভাবে বা কোন কোন উপায়ে টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করা যায়

টেলিগ্রাম চ্যানেল ও গ্রুপ থেকে ইনকাম করার সহজ উপায়

টেলিগ্রাম ও টেলিগ্রাম চ্যানেল সম্পর্কে তো আমার জানলাম চলুন এবার আমরা Telegram থেকে আয়ের জনপ্রিয় উপায় গুলি জেনেনি।

১. রিসেলিং বা রিসেলার বিজনেস

টেলিগ্রাম চ্যানেল বা গ্রুপ থেকে আপনি রিসেলিং বা রিসেলার বিসনেস এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট রিসেল করে আয় করতে পারবেন।

এরকম বিভিন্ন রিসেলিং প্লাটফর্ম বা রিসেলিং অ্যাপ ইন্টারনেটে উপলব্ধ আছে যেখান থেকে আপনি ফিজিক্যাল বা ডিজিটাল প্রোডাক্ট নিয়ে।

টেলিগ্রাম চ্যানেলের মধ্যে তা রিসেল বা পুনর্বিক্রয় করে আপনার চ্যানেল সাবস্ক্রাইবার দের থেকে ভাল পরিমান আয় করতে পারেন।

২. পেইড পোস্ট বা পেইড প্রমোশন

টেলিগ্রাম গ্রুপ ও চ্যানেল থেকে আয় করার এটি সব থেকে জনপ্রিয় উপায় কিন্তু এর জন্য আপনার মোটামোটি ভালো অডিয়েন্স থাকতে হবে।

আপনি যদি আপনার চ্যানেল বা গ্রুপে বেশ ভালো সংখ্যার সাবস্ক্রাইবার বা মেম্বার্স তৈরি করতে পারেন তাহলে এটি আপনার ভালো আয়ের উৎস হতে পারে।

যেরকম ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে অর্থের বিনিময়ে বড় পেজ গুলি ছোট বা নতুন পেজ ও বিসনেস পেজ ও বিভিন্ন পোস্ট প্রমোট করে।

ঠিক একই ভাবে আপনি আপনার চ্যানেলে এরকম ভাবে বিভিন্ন চ্যানেলকে ও পোস্টকে পেইড প্রমোশন করে আয় করতে পারেন।

৩. নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রয়

আপনার যদি নিজের কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস থাকে যা আপনি বিক্রয় করতে চান তাহলে টেলিগ্রাম হলো তার উপযুক্ত জায়গা।

রিসেলিং এর ক্ষেত্রে যেখানে পুনর্বিক্রয় করতে হয়, ঠিক সেরকম ভাবেই আপনি নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এখানে বিক্রয় করতে পারেন

শুধু তাই না আপনার যদি বেশ ভালো পরিমান অডিয়েন্স থাকে তাহলে নিজের প্রোডাক্ট বিক্রয়ের মাধ্যমে আপনি সব থেকে বেশি telegram থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

৪. সাবস্ক্রিপশন ফি

একটি হয় ফ্রি বা পাবলিক চ্যানেল যেখানে যেকেউ সাবস্ক্রাইব করে যুক্ত হতে পারে, আর অন্য দিকে একটি হয় প্রাইভেট চ্যানেল।

অর্থাৎ প্রাইভেট চ্যানেলে যুক্ত হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সাবস্ক্রিপশন ফী দেওয়ার পরেই কেউ সেই চ্যানেলে যুক্ত হতে পারবে।

তবে সরাসরি এরকম কোন ফিচারস টেলিগ্রামে উপলব্ধ নেই যার মাধ্যমে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলকে পেইড সাবস্ক্রাইব করা যায়।

কিন্তু এরকম অনেক থার্ড পার্টি সার্ভিসে ইন্টারনেটে উপলব্ধ আছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার চ্যানেলকে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন চ্যানেল বানাতে পারেন।

আপনার যদি এরকম কোন কনটেন্ট থাকে যা আপনি শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে শেয়ার করতে চান তাহলে এই উপায়টি অনুসরণ করতে পারেন।

৫. ডোনেশন বা অনুদান

আপনার যদি একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল থাকে আর সেখানে মোটামোটি ভালো পরিমান অডিয়েন্স থাকে যাদের জন্য আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে কনটেন্ট পাবলিশ করেন।

তাহলে অবশ্যই আপনি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েট হিসাবে তাদের কাছ থেকে অনুদান বা ডোনেশনের ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারেন।

অবশ্যই আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবাররা আপনার কাজকে সমাদর ও প্রসংশা জানিয়ে আপনাকে অনুদান প্রদান করবে।

কারণ আমরা জানি যে ইউটিউব ও ফেসবুকে ডোনেশন কিরকম জনপ্রিয় বিভিন্ন কনটেন্ট ক্রিয়েটদের মধ্যে। আর টেলিগ্রামও তার বেতিক্রম না।

৬. এফিলিয়েট মার্কেটিং

এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় অনলাইন আয়ের উপায় আর যার বিষয়ে আমরা পূর্বেই আমাদের সাইটে আলোচনা করেছি।

এরকম অনেকেই আছে যারা সরাসরি অফার ও ডিসকাউন্ট এর চ্যানেল বা গ্রুপ বানিয়ে সেখানে Amazon, FlipKart এবং Ebay এর,

মতো ই-কমার্স সাইট থেকে এফিলিয়েট প্রোডাক্ট নিয়ে, তাদের চ্যানেলে প্রমোট করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আয় করছে।

এছাড়াও আপনি প্রায় সমস্ত ক্যাটাগরির ওপরেই এফিলিয়েট প্রোডাক্ট ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন যা আপনি আপনার চ্যানেলেও প্রমোট করতে পারেন।

৭. লিংক শর্টেনার

লিংক শর্টেনার হল এরকম কিছু ওয়েবসাইট যেখান থেকে আপনি কোন লিংক বা ইউআরএল কে শর্ট বা ছোট করতে পারেন।

এবং সেই শর্ট বা ছোট করা লিংকটি যখন কোন জায়গায় যেরকম যদি টেলিগ্রাম চ্যানেল বা গ্রূপের মধ্যে শেয়ার করেন।

আর কেউ যদি সেই লিংকে ক্লিক করে, তাহলে তাকে প্রথমে কিছু অ্যাড দেখানো হয় এবং তার পরেই তাকে লিংকের আসল ঠিকানাতে পাঠানো হয়।

যারা লিংকে ক্লিক করছে তাদের এই যে অ্যাডগুলি দেখানো হচ্ছে তার পরিবর্তে আপনি কিছু ইনকাম করতে পড়বেন।

কারণ আপনি সেই সমস্ত ট্রাফিক বা ভিসিটর্সদের আপনার চ্যানেল বা গ্রুপ থেকে সেখানে পাঠাচ্ছেন।

ঠিক একই ভাবে আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেলে যদি ভালো সংখক সাবস্ক্রাইবার থাকে তাহলে এই পদ্ধতি অনুসরণ টেলিগ্রাম থেকে ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন।

৮. সিপিএ মার্কেটিং

সিপিএ বা CPA মার্কেটিং হল এফিলিয়েট মার্কেটিংয়েরই একটি মডেল যেখানে আপনাকে বিভিন্ন অফারস ইত্যাদির লিংক প্রমোট করতে হয়।

তবে যেখানে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট বিক্রয় হলে তবেই কমিশিন পাওয়া যায়, সিপিএ মার্কেটিংয়ে তা হয় না।

এখানে শুধু প্রোডাক্ট বিক্রয় না আরো বিভিন্ন এক্টিভিটি বা একশন এর ওপরেও পেমেন্ট করা হয় তাই একে Cost per action (CPA) বলা হয়।

এখানে প্রোডাক্ট ট্রায়াল ব্যবহার, সার্ভে কমপ্লিট, ইমেইল আইডি প্রদান, একাউন্ট তৈরী, ডাউনলোড ও প্রোডাক্ট ক্রয় এরকম বিভিন্ন একশনের ওপরে কমিশন প্রদান করা হয় থাকে।

আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেল বা গ্রুপে ভালো সংখ্যার অডিয়েন্স থাকলে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের থেকেও আথিক এই উপায়ে আয় করতে পারবেন।

আমাদের শেষ কথা,

সরাসরি telegram অ্যাপ থেকে ইনকাম না করা গেলেও, অনলাইন আয়ের মাধ্যম হিসাবে এটি অসাধারণ একটি অ্যাপ।

আর শুধু যে টেলিগ্রাম তা না ইন্টারনেটে আমাদের চারিপাশে এরকম বিভিন্ন সুযোগ ছড়িয়ে আছে যাদের আমরা কাজে লাগেতে পারি।

তবে সেই সুযোগ গুলি খুঁজে কাজে লাগানোর জন্য অবশ্যই আমাদের নিজেদের দক্ষতা ও কৌশল ব্যবহার করতে হবে।

তো বন্ধুরা আশা করছি যে আপনারা জানতে পেরেছেন যে কি কি ভাবে টেলিগ্রাম চ্যানেল বা গ্রুপ থেকে ইনকাম করা যেতে পারে।

আপনার যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করুন আর কোন প্রশ্ন থাকলে আমার কমেন্ট করে জানা।