ইউটিউব ভিডিও এসইও (YouTube SEO) কিভাবে করবেন

একটি ব্লগ সাইটের ক্ষেত্রে যেরকম এসইও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেই সাইট ও তার কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্ক করতে।

ঠিক সেরকম ভাবেই ইউটিউবে কোন ভিডিও ভাইরাল বা সার্চ রেজাল্টের মধ্যে রেঙ্ক করানোর জন্য ইউটিউব ভিডিও এসইও (YouTube SEO) অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আর আজকে আমরা ইউটিউব এসইও করে কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করবো বা ভিডিও রেঙ্ক করবো সেই বিষয়েই জানবো।

তাই আপনার যদি একটি ইউটিউবে চ্যানেল থাকে আর তার কোনো ভিডিও যদি সার্চ রেজাল্টের মধ্যে রেঙ্ক না করে এবং পর্যাপ্ত ভিউস না পান তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

কারণ এই আর্টিকেলের মধ্যে আমি আপনাদের সাথে খুঁটিনাটি সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো ও আপনাদের জানাবো।

যার মাধ্যমে আপনি আপনার পরবর্তী সমস্ত ভিডিও ইউটিউব সার্চ রেজাল্টের মধ্যে রেঙ্ক করিয়ে অধিক ভিউস নিয়ে আসতে পারবেন।

অবশ্যই পড়ুন: কিভাবে ইউটিউব ভিডিওর ভিউ বাড়াবেন জেনেনিন

ইউটিউব এসইও (YouTube SEO) কি?

এটি হল একটি পক্রিয়া যার মাধ্যমে কোনো ইউটিউব চ্যানেলকে ও তার প্লেলিষ্ট, ডেসক্রিপশন মেটাট্যাগ এবং ভিডিওকে অপ্টিমাইজ করে তোলা হয়।

যাতে সেই চ্যানেল ও তার কনটেন্টগুলি সার্চ ইঞ্জিনের অনুকূল হয়ে ওঠে এবং সহজে সার্চ রেসাল্টে রেঙ্ক করতে পারে।

আমরা জানি যে যখন আমরা ইউটিউব সার্চ বক্সের মধ্যে কোনো কীওয়ার্ড লিখে সার্চ করে তখন একটি লম্বা সার্চ রেজাল্ট সামনে আসে।

আর সেই সার্চ রেজাল্টের প্রথমের বা ১ থেকে ১০ নম্বরের ভিডিওগুলিই বেশি দেখে থাকি তার নিচের ভিডিও আমরা ক্লিক করি না।

তাই আপনি যদি আপনার ভিডিও ইউটিউব সার্চ রেজাল্টের প্রথম ১-১০ নাম্বারের মধ্যে নিয়ে আসতে না পারেন তাহলে কখনোই বেশি ভিউস পাবেন না।

আর ঠিক এই জায়গাতেই ইউটিউব এসইও কাজে আসে যার মাধ্যমে আপনার ভিডিওগুলি সার্চ রেজাল্টে রেঙ্ক করাতে পারেন।

YouTube SEO কি তা তো আমরা জানলাম, চলুন এবার আমরা জেনেনি যে তা কিভাবে করতে হয় বা করবো।

যেভাবে ইউটিউব ভিডিও এসইও করবেন?

যেভাবে ইউটিউব ভিডিও এসইও করবেন

আমরা জানি যে ইউটিউব নিজেই একটি সার্চ ইঞ্জিন আর তাই সমস্ত সার্চ ইঞ্জিনের মতোই ইউটিউবেরও নিজেস্ব সার্চ এলগরিদম আছে।

আর সেই সার্চ এলগরিদম অনুযায়ীই ইউটিউব কোনো ভিডিওকে সার্চ রেজাল্টের মধ্যে রেঙ্ক ও সাজেস্ট ইত্যাদি করে থাকে।

যদিও আমরা সেই এলগরিদম সঠিক ভাবে কেউই জানিনা তবে তার একটি ওভারভিউ ইউটিউব ক্রিয়েটর ষ্টুডিও তাদের ভিডিওর মাধ্যমে জানিয়েছে।

যে ইউটিউব এলগরিদম কি এবং কিভাবে ইউটিউব সার্চ এবং ডিসকভারি কাজ করে আপনি চাইলে অবশ্যই দেখতে পারেন।

তো এখন নিচে আমি আপনাদের স্টেপ বাই স্টেপ বলবো যে কিভাবে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ইউটিউব ভিডিও অপ্টিমাইজ করতে পারবেন।

স্টেপ ১: ইউটিউব কীওয়ার্ড রিসার্চ

ইউটিউব ভিডিওর জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ অনেকই গুরুত্বপূর্ণ আর যা আপনার ইউটিউব ভিডিও তৈরির আগেই করা উচিত।

আপনি যদি কোনো কীওয়ার্ড টার্গেট ও তার সার্চ ভলিউম রিসার্চ না করে ভিডিও বানান তাহলে কখনোই ভিডিওতে ভিউস আসবে না।

কীওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে ভিডিও টপিক সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং বুছতে পারবেন কোন বিষয়ের ওপর ভিডিও তৈরি করা ঠিক হবে।

তার সাথে যে বিষয়ের ওপর ভিডিও বানাচ্ছেন তার সার্চ ভলিউম কত এবং কত ভিউস পেতে পারেন সেই ব্যাপারেও জানতে পারবেন।

তাহলে এখন প্রশ্ন হল যে কিভাবে ইউটিউব কীওয়ার্ড রিসার্চ করবো?

ইউটিউব কীওয়ার্ড রিসার্চের জন্য এরকম বিভিন্ন অনলাইন টুল ও হ্যাকস আছে যাদের আপনি ব্যবহার করতে পারেন। যেরকম,

  • Google auto-suggest
  • YouTube auto-suggest
  • Google keyword tool
  • Keywordtool.io
  • Wordtracker

আপনি এই সমস্ত টুল ও টিপস গুলির মাধ্যমে আপনার ইউটিউব ভিডিওর জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ করে সঠিক কীওয়ার্ডগুলি নির্বাচন করতে পারবেন।

স্টেপ ২: ভিডিও তৈরির আগে ভিডিও নিয়ে রিসার্চ ও প্ল্যান করে নিন

ভিডিও তৈরির আগে তা নিয়ে প্ল্যান ও পর্যাপ্ত রিসার্চ করা অবশ্যই জরুরি আর যা অনেকেই তা অনুসরণ করে না।

আপনি যে টপিকের ওপর ভিডিও তৈরি করছেন তার ওপর যদি আগে থেকেই বেশ কিছু ইউটিউবে ভিডিও থেকে থাকে,

বা ভিউয়ার্সরা যদি সেই ভিডিও থেকে উপকৃত হয়ে যায় বা তাদের চাহিদা পুরনো হয়ে যায় তাহলে সেই একই টপিকের ওপর ভিডিও তৈরি করার কোনো মানে হয়না।

তাই অবশ্যই ইউনিক অথবা সেই টপিকের অন্যান্য বিষয়ের ওপর কনটেন্ট তৈরি করুন যা আগে কেউ পাবলিশ করেনি।

তার সাথে অবশ্যই আকর্ষক ও ট্রেন্ডিং বিষয়ের ওপর ভিডিও তৈরি করুন যার অনেক চাহিদা আছে এবং ভিউয়ার্সরা দেখতে পছন্দ করবে।

কারণ আপনি যে বিষয়ের ওপর ভিডিও বানাবেন তার যদি চাহিদাই না থাকে তাহলে ভিডিওতে ভিউস পাবেন না।

অর্থাৎ আপনি কি তৈরি করছেন এবং কাদের জন্য তৈরি করছেন সবার প্রথমে তা আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।

আর ঠিক এই জায়গাতে ভিডিও নিয়ে রিসার্চ করা ও প্ল্যান বা কৌশল করে ভিডিও তৈরি করার বিষয়টি কাজে আসে।

স্টেপ ৩: অন পেজ ভিডিও অপ্টিমাইজ করুন

অন পেজ ভিডিও অপ্টিমাইজেশন ইউটিউব ভিডিও এসইও এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ আর এর মধ্যে যে বিষয়গুলি আসে তা হল:

  • টাইটেল
  • ডেসক্রিপশন
  • ভিডিও ট্যাগ
  • থাম্বনেইল

ক) টাইটেলে কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন

কীওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে প্রাপ্ত বিভিন্ন সার্চ ভলিউম কীওয়ার্ড গুলির মধ্যে আপনি যেই কীওয়ার্ডটি টার্গেট করছেন তা টাইটেলে ব্যবহার করুন।

ইউটিউব ক্রিয়েটর ষ্টুডিও তাদের ভিডিওতে বলেছে টাইটেলে ও ডেস্ক্রিপশনের মধ্যে মোস্ট রেলিভেন্ট সার্চ টার্মস গুলি ব্যবহার করলে।

আপনার অন পেজ ভিডিও অপ্টিমাইজ হয় এবং ইউটিউব সার্চ রেজাল্টে আপনার ভিডিওর রেঙ্ক করার সুযোগ বেড়ে যায়।

শুধু ইউটিউবই না বহু ইউটিউবারও দাবি করেছে যে টাইটেল ও ডেসক্রিপশনে কীওয়ার্ড ব্যাবহারের ফলে ভিডিও রেঙ্ক করে বা করার সুযোগ বেড়ে যায়।

তাই পরবর্তী সময় ভিডিও আপলোড করার আগে আপনার টার্গেটেড কীওয়ার্ডটি অবশ্যই ভিডিও টাইটেলের মধ্যে ব্যবহার করুন।

তার সাথে আপনার ভিডিও টাইটেল ছোট ও আকর্ষণীয় লিখুন যাতে ভিয়ার্সদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ও তারা আপনার ভিডিওতে ক্লিক করে।

খ) সঠিক ডেসক্রিপশন লেখা ও তাতে কীওয়ার্ড ব্যবহার করা

যেরকমটি ওপরে বললাম যে ইউটিউবের মতে সঠিক কীওয়ার্ড ডেসক্রিপশনে ব্যবহারের ফলে সার্চ রেজাল্টে রেঙ্ক ও ভিডিও সাজেশানে আসার সুযোগ বেড়ে যায়।

এবং একটি স্টাডিতে এটাও জানা গেছে যে সার্চ রেজাল্টে রেঙ্ক করা টপ ১০ প্রতিটি ভিডিওর ডেস্ক্রিপশনেই বিভিন্ন কীওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্ন ইউটিউবারও এই বিষয়টি মানে এবং তাদের ভিডিও ডেস্ক্রিপশনে মেইন টার্গেটেড কীওয়ার্ডগুলি ব্যবহার করে।

কিন্তু তার মানে এই না যে আপনার ডেসক্রিপশনের মধ্যে যাহোক ভাবে সমস্ত কীওয়ার্ড গুলি ব্যবহার করবেন আপনার ভিডিও রেঙ্ক করানোর জন্য।

কখনোই এরকম করবেন না এতে সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে আর আপনার ভিডিও স্প্যামি দেখাবে।

এবং তা করার ফলে ইউটিউব কখনোই আপনার ভিডিও রেঙ্ক করাবে না।

তাই আমি পরামর্শ দেবো যেই বিষয়ের ওপর ভিডিও তৈরি করবেন তার ওপরে একটি ছোট আর্টিকেল ডেস্ক্রিপশনে লেখার।

এবং সেই আর্টিকেলর কিছু অংশে টার্গেটেড কীওয়ার্ডগুলি ব্যবহার করার যাতে আপনার অন পেজ ভিডিও অপ্টিমাইজ হয়।

গ) সঠিক ভাবে ইউটিউব ভিডিও ট্যাগস ব্যবহার করা

ট্যাগস হল আর একটি উপায় আপনার ভিডিওকে ইউটিউব সার্চ এবং সাজেস্টেড ভিডিওগুলির মধ্যে রেঙ্ক করানোর জন্য।

কারণ ট্যাগস ব্যাবহারের ফলে আপনার ভিডিও আরো স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড হয়ে যায় এবং ইউটিউবও বুছতে পারে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের ওপর ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

আর যার ফলে ইউটিউব সঠিক ভিয়ার্সের কাছে সঠিক ভিডিওগুলি ইউটিউব সার্চ রেজাল্টের ও সাজেস্টেড ভিডিওর মধ্যে দেখাতে পারে।

তাই অবশ্যই ইউটিউব ভিডিও ট্যাগস এর ব্যবহার করে আপনার ভিডিওকে রেঙ্ক করার জন্য আরো এক ধাপ এগিয়ে দিন।

এখন যেহেতু আপনি কীওয়ার্ড রিসার্চ করে নিয়েছেন এবং সেই কীওয়ার্ড গুলি ব্যবহার করে আপনার টাইটেল ও ভিডিও ডেস্ক্রিপশনও অপ্টিমাইজ করে নিয়েছেন।

তাই এখন আপনার যেই কাজটি বাকি থাকছে তা হল সেই মেইন কীওয়ার্ড ও কিছু সাব মেইন কীওয়ার্ড ট্যাগস হিসাবে ব্যাবহার করা।

যাতে আপনার ভিডিও অপ্টিমাইজ তবে এবং ইউটিউবও সঠিক ভাবে বুছতে পারবে যে ঠিক কোন টপিকের ওপর ভিডিওটি করা হয়েছে।

ঘ) কাস্টম ইউটিউব ভিডিও থাম্বনেইল

ইউটিউবে কিছু সার্চ করার পর সার্চ রেজাল্টের কোনো ভিডিওতে ক্লিক করার আগে সর্ব প্রথম যে জিনিসটি দেখে আমরা ক্লিক করি তা হল থাম্বনেইল।

আর থাম্বনাইলের মধ্যে থাকা টেক্সট ও এলিমেন্টস দেখেই ৯০% ভিউয়ার্স সেই ভিডিওর বিষয় বিচার করে এবং তাতে ক্লিক করে।

হয়তো আপনিও ঠিক সেই একই জিনিস করেন যখন ইউটিউবে কিছু সার্চ করেন এবং একদম প্রথমের ভিডিওতে ক্লিক না করে।

যেই ভিডিও থাম্বনেইল বেশি আকর্ষণীয় বা আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সেই ভিডিওর ওপরেই ক্লিক করেন।

অর্থাৎ কোনো ভাবে ইউটিউব সার্চের মধ্যে আপনি একদম শীর্ষে চলে গেলেও আপনার ভিডিও তখনই বেশি ক্লিক পাবে।

যদি আপনার থাম্বনেইল ক্রিয়েটিভ, আকর্ষণীয় এবং ভিডিওর উদ্দেশ্য ফুটিয়ে তুলতে পারে।

তাই নিজে থেকে কাস্টম থাম্বনেইল তৈরি করুন যা ক্রিয়েটিভ ও আকর্ষণীয় হবে এবং সার্চারদের বাধ্য করবে আপনার ভিডিওতে ক্লিক করতে।

স্টেপ ৪: ইন ভিডিও অপ্টিমাইজেশন

ইন ভিডিও অপ্টিমাইজেশন বলতে আমি এখানে আপনার ভিডিওটি ভেতর থেকে অপ্টিমাইজ করার কথা বলছি আর যা আপনি এভাবে করতে পারেন:

ক) ভিডিও ফাইল নাম

অনেক ইউটিউবার এবং আমি নিজও এই বিষয়টি মানি যে ভিডিও ফাইলটির নামে কীওয়ার্ড ব্যবহার করে সেভ করা উচিত।

কারণ অনেকেই বিশ্বাস করে এতে ইউটিউব আপনার ভিডিও ফাইল নামটি রিড করে আর সেখানে কীওয়ার্ড ব্যবহারের ফলে ভিডিওটি আরো অপ্টিমাইজ হয়।

তাই আপনি যদি এই ট্রিকসটি আগে না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই পরামর্শ দেবো ব্যবহার করার জন্য।

খ) ক্যাপশন বা ট্রান্সক্রিপ্টস (Caption or Transcripts)

ইউটিউব ক্যাপশন কি তা আমরা সবাই জানি আর অনেকেই এই বিষয়টির ওপরে দীর্ঘ বিশ্বাস রাখেন যে ভিডিও ক্যাপশন দেওয়া,

এবং তাতে কীওয়ার্ড ব্যবহার করা ইউসার এক্সপিরিয়েন্স ও ইউটিউব ভিডিও এসইও এই দুই ক্ষেত্রেই অনেক সাহায্য করে থাকে।

তাই আপনি যদি ইংলিশ ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করেন তাহলে অবশ্যই ক্যাপশন দিন ও তাতে কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

আর আপনি যদি বাংলাতে ভিডিও তৈরি করেন সেই ক্ষেত্রেই ইংলিশ ক্যাপশন তৈরি করে সেখানে কীওয়ার্ড ব্যাবহার করুন।

এতে আপনার ভিডিও অপ্টিমাইজ হবে এবং অন্যান্য ভাষার ভিউয়ার্সদেরও আপনার ভিডিও বুছতে সুবিধা হবে।

গ) ইউটিউব কার্ড (YouTube cards)

ইউটিউব কার্ড একটি দরকারি ফিচারস যার মাধ্যমে আপনি একটি ভিডিওর মধ্যে থেকে অন্যান্য ভিডিওগুলি প্রমোট করতে পারেন।

আমরা কোনো ভিডিওর একদম ডান দিকে একটি আই (i) বাটন দেখতে পাই যেটা হল এই ইউটিউব কার্ড আর যেখানে বেশ কিছু ভিডিও যুক্ত করা থাকে।

এই কার্ড ব্যবহার করে আপনি খুইব সহজেই একই বিষয়ের ওপর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও গুলি প্রমোট করে ভিউস বাড়াতে পারেন।

হয়তো এটি এসইও অপ্টিমাইজেশনে সরাসরি কাজে আসবে না কিন্তু আপনার অন্যান্য ভিডিওগুলির ভিউস বাড়াতে অবশ্যই সাহায্য করবে।

ঘ) এন্ড স্ক্রিনস (End screens)

ইউটিউব কার্ডস এর মতোই এন্ড স্ক্রিনস কাজ করে থাকে। এন্ড স্ক্রিনস শুধু ভিডিওর একদম শেষের দিকে দেখানো হয়।

এবং এই এন্ড স্ক্রিনস এর উদ্দেশ্য হল ভিউয়ার্সদের ইউটিউব প্লাটফর্মের মধ্যে আরো দীর্ঘ সময়ের জন্য ধরে রাখা।

আর আপনি এই এন্ড স্ক্রিনস ব্যবহার করে সেখানে নিজের দুটি ভিডিও ও চ্যানেল সাবস্ক্রাইবার বাটনটি যুক্ত করতে পারেন।

যা আপনার অন্যান্য ভিডিওগুলির ভিউস বাড়াতে সাহায্য করবে অথবা একটি নতুন চ্যানেল সাবস্ক্রাইবার পেতে সাহায্য করবে।

স্টেপ ৫: ভিডিও পাবলিশ ও প্রমোট

আমাদের এই ইউটিউব ভিডিও এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল এর শেষ স্টেপ বা ধাপটি হল ভিডিও পাবলিশ ও প্রমোট করা।

ক) ভিডিও পাবলিশ

আমার মতে ভিডিও পাবলিশ করার একটি নির্দিষ্ট সময় অনুসরণ করে চলা উচিত যা হল সকাল ৭ তা থেকে ১১ তার মধ্যে।

কারণ দিনের শুরুতে আপনার ভিডিওগুলি ইউটিউব হোম পেজ এবং সাজেস্টেড ভিডিওগুলির মধ্যে আসার সুযোগ বেশি থাকে।

যদিও এটি আমার ক্ষেত্রে কাজ করে তবে আপনি আপনার ভিডিও পাবলিশ করার বেস্ট সময়টি আপনার অডিয়েন্স ডেটা থেকে জানতে পারবেন।

অবশ্যই মনে রাখবেন যে সঠিক সময়ে ভিডিও আপলোড বা পাবলিশ করতে পারলে অধিক পরিমান ভিউস পাওয়ার সুযোগ থাকে।

খ) ভিডিও প্রমোট

ভিডিওতে অধিক ভিউস নিয়ে আসার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ও বিভিন্ন ফোরাম সাইটে অবশ্যই আপনার ভিডিও প্রমোট করুন।

আপনি খুব সহজেই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এবং Quora এর মতো প্রশ্ন উত্তর সাইটে,

আপনার ভিডিও প্রমোট করার মাধ্যমে আপনার ভিডিও ভিউস বাড়াতে পারবেন।

শুধু তাই না এসব জায়গা থেকে যখন আপনার ভিডিও ভিউস বাড়বে তখন আপনার ভিডিও ইউটিউবে একটি ইনিশিয়াল বুস্ট পাবে।

যা আপনার ভিডিওটিকে সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্ক করতে এবং সাজেস্টেড ভিডিও গুলিতে আসার সুযোগ আরো বাড়িয়ে তুলবে।

প্রায় সমস্ত ইউটিউবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের ভিডিও ভিউস বাড়ায় এবং একটি ইনিশিয়াল বুস্ট পেতে সাহায্য করে।

যার ফলে তার ভিডিওগুলি সহজে সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্ক করে যায় এবং সাজেস্টেড ভিডিওগুলির মধ্যে বেশি পরিমানে আসে।

আপনি যদি ইউটিউবে বিগেনার হন অর্থাৎ ওপরের সমস্ত স্টেপ গুলি যদি আপনার মনে রাখা ও ফলো করা কিছুটা কঠিন হতে পারে,

সেই ক্ষেত্রে আমি আপনাকে TubeBuddy ক্রোম এক্সটেনশন বা মোবাইল এপ্লিকেশনটি ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দেবো।

কারণ ইউটিউব এসইওর ওপরের সমস্ত স্টেপস গুলির অনেকটাই টিউববাডি আপনাকে সহজে করতে সাহায্য করবে।

>>Dounload TubeBuddy<<

মনে রাখবেন যে এই পোস্টের কিছু লিঙ্ক অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক এবং যদি আপনি তাদের মাধ্যমে ক্রয় করতে যান তবে আমি একটি কমিশন উপার্জন করব। মনে রাখবেন যে আমি এই সংস্থাগুলি এবং তাদের পণ্যগুলিকে তাদের মানের কারণে ও আপনার সুবিধার্তে লিঙ্ক করি, আপনার ক্রয় থেকে প্রাপ্ত কমিশনের কারণে নয়। সিদ্ধান্ত আপনার, এবং আপনি কিছু কেনার সিদ্ধান্ত নিবেন কিনা তা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে।

Disclosure

অবশ্যই পড়ুন: নতুন ইউটিউবারদের জন্য জরুরি ৯টি ফ্রি অনলাইন টুল

আমাদের শেষ কথা:

অনেকেই এবং বিশেষ করে নতুন ইউটিউবাররা এই বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তা করে যে কেন তাদের ভিডিওতে ভিউস আসছে না।

আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওপরের বিষয়গুলি হয়তো তারা জানেনা অথবা কিছু বিষয় জানলেও সেগুলি অনুসরণ করে না।

কিন্তু আপনি যদি আপনার পরবর্তী ভিডিওগুলি তৈরি ও পাবলিশ করার ক্ষেত্রে ওপরের সমস্ত বিষয়গুলি অনুসরণ করে চলেন।

তাহলে অবশ্যই আপনার ভিডিও ভিউস অনেক পরিমান বৃদ্ধি পাবে এবং সার্চ রেজাল্টের মধ্যেও রেঙ্ক করতে পারবেন।

তো বন্ধুরা আশা করছি ইউটিউব ভিডিও এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয় তা আপনারা জানতে পেরেছেন।

আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করুন এবং আমায় কমেন্ট করে জানান।